বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪

বিকাশ হচ্ছে বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম। বর্তমানে এই কোম্পানিটি বাংলাদেশের পাশাপাশি আর্জেন্টিনার সাথে স্পন্সর করেছে। বিকাশ থেকে বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করতে প্রথমে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর ঘরে বসেই টাকা লেনদেন ও বিভিন্ন বিল পে বা পেমেন্ট করা যাবে। বিকাশ একাউন্ট করার জন্য একটি স্মার্ট ফোন প্রয়োজন হবে। এরপর বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো ধাপে ধাপে ফলো করে একাউন্ট খুলতে হবে।

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

নিজের ব্যাক্তিগত স্মার্ট ফোন না থাকলে, এনআইডি কার্ড টি সাথে নিয়ে নিকতের যেকোনো টেলিকম দোকানে যাবেন। সেখান থেকেও বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে। বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম হচ্ছে মোবাইল এপ্স ইন্সটল করা। এরপর নাম, ব্যাক্তিগত তথ্য ও এনআইডি কার্ড দিয়ে সাবমিট করা। একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য নিজের ফেস সাবমিট করা। এই ধাপ গুলো সঠিক ভাবে সম্পর্ন করলে আপনার নামে বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। মনে রাখবেন একটি এনআইডি দিয়ে মাত্র একবার এবং যেকোনো একটি সিমে বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে। তাই বিকাশ একাউন্ট খুলার পূর্বে আপনার সিম নাম্বার বা অপারেটর নির্বাচন করতে হবে। একবার একাউন্ট খোলা শেষ হলে পরে এটি আর অন্য নাম্বার দিয়ে খুলতে পারবেন না।

  • বিকাশ এপ্স থেকে লগইন অথবা রেজিস্টার ক্লিক করুন।
  • সিমের অপারেটর সিলেক্ট করে মোবাইল নাম্বার লিখুন। মোবাইল নাম্বার টি সচল রাখতে হবে এবং সাথে নিয়ে থাকতে হবে।
  • উক্ত নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। কোড টি সাবমিট করুন।
  • বিকাশ ব্যবহারের জন্য শর্তাবলি দেওয়া হবে। এই শর্তাবলি গুলো পড়ুন এবং সম্মতি জানান।
  • একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য আপনার এনআইডি কার্ডের সামনের ও পিছনের অংশ টি মোবাইলে স্ক্যান করুন।
  • অনেক গুলো তথ্য দেখাবে। এই তথ্য গুলো সঠিক হলে পরের ধাপে চলে যাবেন।
  • এখন এনআইডি কার্ডের দেওয়া পিকচারের সাথে নিজের ফেস ভেরিফাই করতে হবে। তাই সামনের ক্যামেরা দিয়ে আপনার ফেস স্ক্যান করুন। স্ক্যান করার সময় আপনার চোখের পাতা বন্ধ করুন এবং খুলুন। এভাবে গোল বৃত্তটি ভরাত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। স্ক্যান করতে অসুবিধা হলে আলো আছে এমন স্থানে যেতে হবে।
  • এই ধাপে সাবমিট করুন।
  • এখন ভেরিফিকেশনের কনফার্মেশন এসএমএস-এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বিকাশের অফিস থেকে আপনার একাউন্ত ও তথ্য গুলো যাচাই করতে ২৪ ঘণ্টা সময় নিবে। এই সময়ের মধ্যেই আপনার উক্ত নাম্বারে একটি কনফার্ম এর এসএসএম পাঠাবে।
  • এরপর আপনার একাউন্ট এর জন্য ৫ সংখ্যার একটি শক্তিশালী পিন সেট করতে হবে।
  • পিন সেট করুন এই অপশন থেকে খুব দ্রুতি পিন সেট করবেন। এই পিন নাম্বার টি অবশ্যই মনে রাখতে হবে। একাউন্ট লগইন করতে পিন নাম্বার টি প্রয়োজন হবে।

বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য কি কি লাগবে

বিকাশ একাউন্ট খুলতে তেমন কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় না। একটি মোবাইল, সচল সিম ও এনআইডি কার্ড। তবে গ্রাহক সেবা কেন্দ্রও, এজেন্ট অফিস ও ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে একাউন্ট আরও কিছু তথ্য লাগবে। সেক্ষেত্রে আপনার অরজিনাল এনআইডি কার্ড এবং তার ফটকপি, আপনার পাপ্সরত সাইজের ছবি লাগবে। গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে বিকাশ একাউন্ট খুলতে জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এবং ফটোকপি)/ মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স / মূল পাসপোর্ট সাথে নিবেন। পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি নিতে হবে।

একাউন্ট খোলা খুব সহজ। একাউন্ত খোলা শেষ হলে আপনার মোবাইল মেন্যু অ্যাক্টিভেট করতে হবে। এজন্য ডায়ল প্যাড থেকে *২৪৭# ডায়াল করুন। বিকাশ মোবাইল মেন্যু থেকে অ্যাক্টিভেট মোবাইল মেন্যু সিলেক্ট করুন। এখন ৫ ডিজিটের পিন নাম্বারটি লিখুন। কনফার্ম করার জন্য উক্ত পিন নাম্বার টি আবার লিখুন। একাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে পিন, একাউন্ট নাম্বার ও ভেরিফিকেশন কোড কারও সাথে শেয়ার করবেন না।

আরও দেখুনঃ

নগদ একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার ও হেল্প লাইন নাম্বার

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার কোথায় কোথায় আছে

Leave a Comment