১৩ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন সমূহ

এখনকার সময়ে ফোন ছাড়া জীবন কল্পনাই করা যায় না। আমাদের অনেক কাজ, পড়াশোনা, যোগাযোগ, এমনকি বিনোদনের জন্যও এখন ফোন দরকার হয়। কিন্তু সবসময় তো আর সবার বাজেট বেশি থাকে না, তাই না? অনেকেই চায় একটা ভালো ফোন, কিন্তু বাজেট সীমিত থাকে। বিশেষ করে যারা ১৩ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন খুঁজে থাকেন, তাদের জন্য এই লেখা একদম পারফেক্ট।

আমি এখানে সহজ ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করবো, ফোন কী, কেন দরকার, আর ১৩ হাজার টাকার মধ্যে কোন কোন ফোন ভালো হতে পারে। প্রতিটি ফোন সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো যেন তুমি নিজের জন্য বা পরিবারের কারও জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারো। চলো, তাহলে শুরু করি।

ফোন কি?

ফোন মানে শুধু কথা বলার যন্ত্র না, এটা এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আগে যখন মোবাইল ফোন আবিষ্কার হয়, তখন শুধু কল করার জন্য ব্যবহার হতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ফোন হয়েছে আরো আধুনিক। এখন আমরা ফোন দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করি, ছবি তুলি, ভিডিও করি, গান শুনি, গেম খেলি এমনকি অনলাইনে কাজও করি।

ফোনে থাকে একটা ডিসপ্লে (স্ক্রিন), ক্যামেরা, ব্যাটারি, প্রসেসর, র‍্যাম আর স্টোরেজ। এই উপাদানগুলোই ফোনের গতি, ছবি তোলার ক্ষমতা এবং ব্যবহার করার অভিজ্ঞতাকে নির্ধারণ করে। এখনকার স্মার্টফোনগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস অপারেটিং সিস্টেম থাকে, যেটা ফোন চালানোর জন্য দরকার। অনেক ফোনে এখন একাধিক ক্যামেরা, ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সর, ফেস আনলক, আর ফাস্ট চার্জিং সুবিধাও পাওয়া যায়।

ফোনের সবচেয়ে দরকারি কাজ হলো যোগাযোগ রক্ষা করা। আমরা ফোন দিয়ে ম্যাসেজ পাঠাই, ফোন কল করি, ভিডিও কল করি বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের সাথে যুক্ত থাকি। আবার অনেকে পড়াশোনার জন্যও ফোন ব্যবহার করে। তাই বলতে পারি, একটা ভালো ফোন আমাদের অনেক দিক থেকেই সাহায্য করে।

কিন্তু সবার পক্ষে ২০-৩০ হাজার টাকার ফোন কেনা সম্ভব না। তাই ১৩ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন খুঁজে পাওয়া একটা চ্যালেঞ্জ। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ বাজারে এখন অনেক ভালো ফোন পাওয়া যায় এই বাজেটে। নিচে আমি সেগুলোর বিস্তারিত বলছি।

১৩ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন সমূহ

এই বাজেটের মধ্যে এমন অনেক ফোন আছে যেগুলোর পারফরম্যান্স, ক্যামেরা, ব্যাটারি সবই ভালো। নিচে আমি ১০টি জনপ্রিয় ও কার্যকর ফোন নিয়ে আলোচনা করবো।

১. Xiaomi Redmi A2+

এই ফোনটি যারা সাধ্যের মধ্যে ভালো একটি স্মার্টফোন খুঁজছেন তাদের জন্য খুবই উপযুক্ত। এতে আছে 6.52 ইঞ্চির বড় ডিসপ্লে, যা ভিডিও দেখা কিংবা গেম খেলার জন্য ভালো অভিজ্ঞতা দেয়। ফোনটির ডিজাইন অনেকটাই প্রিমিয়াম লুক দেয় এবং হাতে নিতেও আরামদায়ক। এতে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও G36 প্রসেসর, যেটা হালকা থেকে মাঝারি কাজের জন্য যথেষ্ট ভালো।

এর 2GB বা 3GB RAM এবং 32GB স্টোরেজ সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত। চাইলে স্টোরেজ microSD কার্ড দিয়ে বাড়ানো যায়। ক্যামেরা হিসেবে পেছনে আছে 8MP এর ডুয়েল ক্যামেরা, যেটা দিনের আলোতে মোটামুটি ভালো ছবি তোলে। সামনে 5MP সেলফি ক্যামেরাও রয়েছে।

ব্যাটারির দিক থেকেও এটি বেশ ভালো, কারণ 5000mAh ব্যাটারি একদিনের বেশি ব্যাকআপ দিতে পারে। যারা শুধুমাত্র পড়াশোনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউব ব্যবহারের জন্য ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য Redmi A2+ একটি ভালো অপশন হতে পারে।

২. Realme Narzo 50i Prime

এই ফোনটি বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই ভালো একটি বাজেট ফ্রেন্ডলি অপশন। এতে রয়েছে Unisoc T612 প্রসেসর, যা দৈনন্দিন ব্যবহারে মসৃণ পারফরম্যান্স দেয়। ফোনটির ডিসপ্লে 6.5 ইঞ্চি এবং HD+ রেজোলিউশনের, তাই ভিডিও বা অনলাইন ক্লাস দেখতে খুব ভালো লাগে।

ফোনটি 3GB RAM ও 32GB স্টোরেজ নিয়ে আসে। চাইলে 1TB পর্যন্ত মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যায়। পিছনে আছে একটি 8MP ক্যামেরা, আর সামনে আছে 5MP ক্যামেরা সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য। ছবি তুলতে চাওয়ার জন্য এটা মোটামুটি কাজের।

এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো 5000mAh ব্যাটারি, যেটা একদিন তো দিবেই, এমনকি হালকা ব্যবহারে দুই দিনও যেতে পারে। ডিজাইনটি স্লিম ও হালকা হওয়ায় হাতে নিতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য হয়। যারা কম দামে একটি নির্ভরযোগ্য ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি দারুণ একটি চয়েস।

৩. itel Vision 3

itel ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয়। Vision 3 মডেলটি কম দামে ভালো স্পেসিফিকেশন অফার করে। এতে আছে 6.6 ইঞ্চির বড় ডিসপ্লে, যেটা বড় স্ক্রিনপ্রেমীদের জন্য দারুণ। ফোনটির ভেতরে রয়েছে Unisoc SC9863A প্রসেসর, যা সাধারণ কাজগুলো ভালোভাবে চালাতে পারে।

ফোনটি 2GB/3GB RAM ও 32GB/64GB স্টোরেজ সহ পাওয়া যায়। পেছনে ডুয়েল ক্যামেরা (8MP+VGA) আর সামনে 5MP ক্যামেরা দিয়ে সাধারণ মানের ছবি তোলা যায়। কিন্তু দিনের আলোতে ফটো কোয়ালিটি ভালোই আসে।

সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচার হলো এর 5000mAh ব্যাটারি এবং 18W ফাস্ট চার্জিং সুবিধা। এত কম বাজেটে এই চার্জিং সুবিধা সত্যিই প্রশংসনীয়। যারা বড় ডিসপ্লে ও ভালো ব্যাটারির ফোন চান, তাদের জন্য এটা একবার দেখা যেতে পারে।

৪. Infinix Smart 7

Infinix সবসময় বাজেট ফ্রেন্ডলি ফোন বানায়। Smart 7 মডেলটিও তার ব্যতিক্রম না। এতে 6.6 ইঞ্চির বড় ডিসপ্লে ও 500 nits উজ্জ্বলতা রয়েছে, যা বাইরে সূর্যের আলোতেও ভালোভাবে দেখা যায়। ফোনটির ডিজাইনও বেশ আকর্ষণীয়।

ফোনে আছে Unisoc SC9863A প্রসেসর, 3GB RAM ও 64GB স্টোরেজ, যা সাধারণ কাজের জন্য যথেষ্ট। পেছনে রয়েছে 13MP ক্যামেরা ও সামনে 5MP সেলফি ক্যামেরা। ছবি মানে অসাধারণ না হলেও এই দামে ভালো বলা চলে।

5000mAh ব্যাটারি ফোনটিকে দীর্ঘসময় সচল রাখে। এতে Android 12 Go Edition রয়েছে, যা হালকা ভার্সন হওয়ায় পারফরম্যান্স ভালো থাকে। যারা বড় স্ক্রিন ও ভালো ব্যাটারির ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য Smart 7 একটি ভালো অপশন।

৫. Symphony Z42

Symphony বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ড, এবং Z42 মডেলটি কম বাজেটে ভালো পারফরম্যান্স দেয়। ফোনে রয়েছে 6.52 ইঞ্চির ডিসপ্লে এবং AI ফিচার সমৃদ্ধ 13MP ক্যামেরা। সামনে 5MP সেলফি ক্যামেরাও ভালো মানের ছবি তোলে দিনের আলোতে।

Unisoc T610 প্রসেসর এবং 3GB RAM এই ফোনটিকে ডেইলি ইউজের জন্য কার্যকর করে তোলে। ফোনে Android 12 রয়েছে, যেটা আপডেটেড এবং ব্যবহার সহজ। ফোনে 32GB স্টোরেজ রয়েছে, এবং মেমোরি কার্ড সাপোর্ট করে।

5000mAh ব্যাটারি একটানা ব্যবহারেও দীর্ঘ সময় ব্যাকআপ দেয়। যারা দেশে তৈরি ভালো ফোন খুঁজছেন, Symphony Z42 হতে পারে তাদের জন্য আদর্শ একটি ফোন।

৬. Tecno Pop 7

Tecno Pop 7 হলো একটা এমন ফোন, যা কম বাজেটের মধ্যে ভালো ডিজাইন আর ডেলিভারি দেয়। এতে রয়েছে 6.6 ইঞ্চির বড় ডিসপ্লে ও HD+ রেজোলিউশন। স্ক্রিনটা রঙিন ও স্পষ্ট, তাই ইউটিউব বা ফেসবুক স্ক্রল করতেও ভালো লাগে। ফোনটির ডিজাইন বেশ আকর্ষণীয় এবং অনেকটা প্রিমিয়াম লুক দেয়।

ফোনটির ভিতরে রয়েছে MediaTek Helio A22 প্রসেসর, যেটা সাধারণ কাজ, যেমন: ব্রাউজিং, ফেসবুক, ইউটিউব বা হালকা গেম খেলার জন্য উপযুক্ত। Tecno Pop 7 এ রয়েছে 2GB RAM এবং 64GB স্টোরেজ, যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট। চাইলে মেমোরি কার্ড দিয়ে বাড়ানো যায়।

পেছনে আছে 8MP প্রাইমারি ক্যামেরা এবং একটি AI লেন্স, যা ছবি তুলতে সহায়তা করে। সামনে আছে 5MP সেলফি ক্যামেরা, যেটা ভিডিও কল বা হালকা সেলফির জন্য ঠিকঠাক। 5000mAh ব্যাটারি থাকায় সারাদিন অনায়াসে ব্যবহার করা যায়। যারা অফিস, ক্লাস বা সাধারণ ব্যবহারের জন্য ফোন খুঁজছেন, Tecno Pop 7 একটা ভরসাযোগ্য অপশন।

৭. Walton Primo R10

Walton বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। Primo R10 মডেলটি দেশের বাজারের জন্য একেবারে দারুণ ফিচারসহ এসেছে। এতে আছে 6.52 ইঞ্চির IPS ডিসপ্লে, যার রেজোলিউশন HD+। স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা ও রঙের মান ভালো, তাই ভিডিও দেখা বেশ আরামদায়ক।

এই ফোনে রয়েছে MediaTek Helio A22 চিপসেট, 4GB RAM এবং 64GB স্টোরেজ। এত কম দামে 4GB RAM পাওয়া একটা বিশাল সুবিধা। মাল্টিটাস্কিং, হালকা গেমিং বা স্টাডি অ্যাপ চালানো অনেক ভালোভাবে করা যায় এই ফোনে।

পেছনে আছে 13MP ডুয়েল ক্যামেরা, যা সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ভালো মানের ছবি দেয়। সামনে 5MP ক্যামেরা রয়েছে, যেটা পরিষ্কারভাবে ভিডিও কল করতে সহায়তা করে। ফোনে 5000mAh ব্যাটারি রয়েছে, যেটা দীর্ঘ সময় ব্যাকআপ দেয়। যারা দেশি ব্র্যান্ডে বিশ্বাস রাখেন, তাদের জন্য Walton Primo R10 খুব ভালো অপশন।

৮. Lava Benco V90

Lava Benco V90 কম দামে স্টাইলিশ ও কার্যকর একটি স্মার্টফোন। এতে আছে 6.82 ইঞ্চির বিশাল স্ক্রিন, যা ভিডিও দেখা বা গেম খেলার জন্য দারুণ। এই বাজেটে এত বড় স্ক্রিন খুব কম ফোনেই পাওয়া যায়। ডিসপ্লেটির উজ্জ্বলতাও ভালো।

ফোনটিতে রয়েছে Unisoc SC9863A প্রসেসর, 4GB RAM ও 64GB স্টোরেজ। পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে এটি দৈনন্দিন কাজের জন্য অনেক ভালো। হালকা গেমও খেলা যায় কোনো সমস্যা ছাড়াই।

ক্যামেরা হিসেবে পেছনে আছে 16MP ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ, যা এই বাজেটে খুবই চমৎকার। সেলফির জন্য সামনে আছে 8MP ক্যামেরা, যেটা দিনের আলোতে ভালো ছবি তোলে। 5000mAh ব্যাটারি এবং Type-C চার্জিং পোর্ট থাকায় চার্জও দ্রুত হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। যারা বড় স্ক্রিন, ভালো ক্যামেরা ও শক্তিশালী ব্যাটারি চান, তাদের জন্য Benco V90 আদর্শ হতে পারে।

৯. Itel P40

Itel P40 মডেলটি অনেকটা পাওয়ারফুল বাজেট ফোন হিসেবে পরিচিত। সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর 6000mAh ব্যাটারি, যেটা দুইদিন পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে পারে হালকা ব্যবহারে। এই দামে এত বড় ব্যাটারি খুব কম ফোনেই দেখা যায়।

এই ফোনে রয়েছে 6.6 ইঞ্চির HD+ ডিসপ্লে এবং Unisoc SC9863A প্রসেসর। এতে 4GB RAM ও 64GB স্টোরেজ দেওয়া হয়েছে, যা বাজেট ফোন হিসেবে বেশ ভালো স্পেসিফিকেশন। মাল্টিটাস্কিং ও পড়াশোনার কাজে খুব ভালোভাবে কাজ দেয়।

পেছনে 13MP ডুয়েল ক্যামেরা এবং সামনে 5MP সেলফি ক্যামেরা আছে। ক্যামেরা পারফরম্যান্স মোটামুটি হলেও ব্যাটারি ও স্ক্রিনের জন্য ফোনটি অনেক ভালো বলা যায়। যারা বেশি সময় ফোন ব্যবহার করেন, তাদের জন্য Itel P40 ভালো পছন্দ হতে পারে।

১০. Motorola E13

Motorola E13 হলো একটা ব্র্যান্ডেড এবং নির্ভরযোগ্য বাজেট ফোন। Motorola ব্র্যান্ড অনেক আগে থেকেই পরিচিত, আর E13 মডেলটি কম দামে ভালো স্পেসিফিকেশন ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দেয়। এতে রয়েছে 6.5 ইঞ্চির ডিসপ্লে ও Android 13 Go Edition, যা হালকা এবং স্মুথ।

ফোনটিতে রয়েছে Unisoc T606 প্রসেসর, 2GB RAM এবং 64GB স্টোরেজ। যারা সাধারণ ইউজার, যেমন: ছাত্র-ছাত্রী বা প্রবীণ ব্যক্তি, তাদের জন্য এই ফোন সহজে চালানো যায়। অ্যাপগুলো তাড়াতাড়ি খোলে এবং হ্যাং করে না।

পেছনে 13MP ক্যামেরা ও সামনে 5MP ক্যামেরা রয়েছে, যেগুলো ছবি ও ভিডিও কলের জন্য যথেষ্ট। ব্যাটারি 5000mAh এবং Type-C পোর্ট থাকায় ব্যবহার অনেক সুবিধাজনক। যারা ব্র্যান্ড ভ্যালু ও নির্ভরযোগ্যতা চান, Motorola E13 হতে পারে দারুণ পছন্দ।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

“১৩ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন” এই বিষয়ে আপনার মনে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সকল প্রশ্ন ও উত্তরগুলো-

১৩ হাজার টাকার মধ্যে কি ভালো স্মার্টফোন পাওয়া যায়?

হ্যাঁ, এখন বাজারে অনেক ভালো ফোন পাওয়া যায় এই দামে, যেগুলোর ক্যামেরা, ব্যাটারি ও পারফরম্যান্স ভালো।

শিক্ষার্থীদের জন্য কোন বাজেট ফোন ভালো হবে?

Realme Narzo 50i Prime বা Infinix Smart 7 শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই উপযুক্ত অপশন হতে পারে।

উপসংহার

ফোন এখন শুধু বিলাসিতা নয়, বরং প্রয়োজন। তবে সেটা কিনতে গিয়ে বাজেটের বাইরে চলে যাওয়া ঠিক না। আমি যেসব ফোন নিয়ে আলোচনা করলাম, সবই ১৩ হাজার টাকার মধ্যে। এগুলো থেকে যে কোনো একটি বেছে নিলে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারো। ফোন কেনার সময় শুধু দাম নয়, প্রয়োজন, ব্যাটারি, ক্যামেরা, পারফরম্যান্স—সবকিছু মিলিয়ে দেখা উচিত।

তোমার যদি বাজেট সীমিত থাকে, তাহলে চিন্তা করো না। এই লেখার ফোনগুলোর মধ্যে তোমার জন্য নিশ্চয়ই একটা ফোন আছে। আর যদি আমার লেখাটা তোমার কাজে লাগে, তবে সেটা আমার জন্য অনেক বড় আনন্দের ব্যাপার হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *